সোমবার, ১৯ মার্চ, ২০১২

গোলাপ নামের মেয়েকে....

যদিও আমি কাঁটা বেশি ভালবাসি
তবু ভুল করে গোলাপের কাছে
বারবার ছুটে আসি।

বুঝতে নেই তো বাকি
গোলাপের মায়া মরীচিকা শুধু
গোলাপ মানেই ফাঁকি।

গোলাপের প্রেমে আর জড়াব না
গোলাপ তোমাকে টাটা
আমি ভালবাসি কাঁটা।

রুমন নামের একটি মেয়ে

উনিশশত নব্বই সালের
সাতাশ ডিসেম্বরে
একটি মেয়ের হয় আগমন
বিশ্ব চরাচরে।


সময় পেরোয়, স্নেহের ছায়ায়
হয় সে বড় ধীরে
বাবা-মায়ের কত্ত আশা
মেয়েটিকে ঘিরে।


শান্ত-সুবোধ মিষ্টি মেয়ে
কথায় ভারি পাকা
দুই চোখে তার কৌতূহল আর

স্বপ্ন শত আকাঁ।

হাসিতে তার মুক্তো ঝরে
বাজে মোহন বাঁশি
মেধাবী সে, পরীক্ষাতে
একশ' তে পায় আঁশি।


পুষ্প আকাশ সাগর নদী
জোসনা রাতের আলো
রাতের পাখি নীল জোনাকি
তার লাগে বেশ ভালো।


সারা দিনের কাজের ফাঁকে
একটু অবসরে
রঙ-তুলিতে ছবি আঁকে
কিংবা সে গান করে।

রুমন নামের সেই মেয়েটি
আমার স্বজন ছিল
উতল হাওয়ার প্রবঞ্চনা
উড়িয়ে তাকে নিল।

মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ, ২০১২

মন ছুঁতে চায়.......

মন ছুঁতে চায় চাঁদ-তারা-মেঘ
দূরের আকাশ নীল
মন হতে চায় প্রজাপতি

ধূসর ডানার চিল।

মন কেড়ে নেয় হাঁসের সাঁতার
শাপলা ফোটা ঝিল
মন ছুটে যায় পরির দেশে
নাটোর চলনবিল।

কর্ণফুলির ওই খেয়াঘাট
চাটগাঁ ডিসি হিল
মন খুঁজে পায় এক নদী সুখ
স্বপ্ন অনাবিল।

শামসুর রাহমানকে নিবেদিত

আজও আছে কবি তোমার
স্মৃতির শহর ঢাকা
আগের মতোই ব্যস্ত পথে
ঘোরে গাড়ির চাকা।

আজও দেখি আকাশ নীলে
আজব সুতোর ঘুড়ি
মেঘনা পারের শান্ত চরে
চিলের উড়াউড়ি।

তুমিই শুধু হারিয়ে গেছো
তেপান্তরের বনে
মহাকালের যাত্রী হয়ে
একাকী নির্জনে।


চশমা ঘড়ি কালি-কলম
চেয়ার লেখার খাতা
কাতর চোখে তাড়িয়ে বেড়ায়
তোমার স্মৃতিগাথা।

তোমার শোকে গাছের পাতা
শুকনো হলুদ বরণ
নেত্র কোণে অশ্রু নিয়ে 

করছি তোমায় স্মরণ।

জ্যামকাহিনী

ঢাকার পথে অসহ্য জ্যাম
বেশ পুরনো কথা
একটুখানি চলবে গাড়ি
থামবে যথাতথা।

অনন্যোপায় আমজনতার
নষ্ট সময়-টাকা
কষ্ট হলেও ঘেমে-নেয়ে
জ্যামেই বসে থাকা।

বেশ হতো কাজ জ্যাম কমানোর
একটা উপায় পেলে
ভাবছি শুধু কিন্তু কোনো
বুদ্ধি নাহি মেলে।

একটি নতুন  ভাবনা হঠাৎ
মাথার ভেতর খেলে
তাড়াবো জ্যাম আলাদিনের

যাদুর চেরাগ জ্বেলে।

এখন থেকে সব গাড়িতে
দাও লাগিয়ে পাখা
উড়বে গাড়ি শূন্যে তখন
রাস্তা হবে ফাঁকা।

রঙের সমুদ্দুর

বুনোলতার ঝোঁপের মত
সবুজ আমার দেশ
প্রজাপতির ডানায় ঢাকা
রোদেল পরিবেশ।

আমের ডালে পাতার ফাঁকে
কোকিল টিয়ে গায়
দখিন হাওয়া কাশের বনে
দোলা দিয়ে যায়।

বুকে জাগায় সুখের আবেশ
ভাটিয়ালির সুর
দূরের গাঁয়ের শর্ষে ক্ষেতও
রঙের সমুদ্দুর।

জোনাক-জ্বলা জোসনা রাতে
ঘরে থাকা দায়
চাঁদ-তারারা ডাকতে থাকে
আয়রে কাছে আয়।

সকাল-সাঁঝে হাওয়ায় ভাসে
কাঁঠালচাঁপার ঘ্রাণ
রূপ-অপরূপ দেশটা আমার
নেয় কেড়ে নেয় প্রাণ।

প্রবীণের সেবায় অবারিত দ্বার


তিনি চোখ বোলাচ্ছেন দৈনিক পত্রিকার পাতায়। গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়ছেন কাগজের ভেতর-বাহির। 'কেমন আছেন', প্রশ্ন করতেই হাসিমুখে বললেন, 'ভালো আছি'। আমজাদ হোসেন। বয়স সত্তরের কোঠায়। ১০ বছর ধরে আছেন প্রবীণ নিবাসে। 'এখানে কেন থাকেন'_এ জিজ্ঞাসার জবাবে জানালেন_'স্ত্রী বেঁচে নেই। একমাত্র সন্তান কানাডায় থাকে। সরকারি চাকরি করতাম। তাই অবসর নেওয়ার পর থেকে এখানেই আছি।'
কথা হলো আবু জাফর গিফারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষক রহিমা খাতুনের সঙ্গে। তিনি শোনালেন তাঁর জীবনের গল্প_একমাত্র ছেলে লন্ডনে পড়ালেখা করে আর মেয়ে স্বামীসহ কানাডায়। স্বামী মারা গেছেন আর হাতিরঝিল প্রকল্পের কারণে হারিয়েছেন নিজ বাড়ি। ক্ষতিপূরণ পাবেন বলে শুনেছেন। কিন্তু দৌড়াদৌড়ির ঝামেলায় আর পাওয়া হয়নি। তাই এটিই এখন তাঁর স্থায়ী নিবাস।
এমনই নানা কারণে যাঁদের স্বজনরা দেশে নেই, দেশে থাকলেও কাছে নেই কিংবা পাশে নেই, প্রৌঢ় বয়সে তাঁদের আশ্রয় হয়ে দাঁড়ায় ওল্ডহোম বা বৃদ্ধনিবাস। পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা বা নিঃসঙ্গতার কারণে বৃদ্ধনিবাসই হয় তাঁদের বাসস্থান। এমনই এক প্রতিষ্ঠান বাংলা প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান পরিচালিত প্রবীণ নিবাস ও হাসপাতাল। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত এ স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত। দেশের প্রাচীনতম ও বৃহৎ এ প্রবীণ কল্যাণ প্রতিষ্ঠান সব শ্রেণীর প্রবীণদের শারীরিক, মানসিক, আবাসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পুনর্বাসনমূলক সেবাদানের পাশাপাশি বার্ধক্য বিষয়ে অবহিত, সংবেদনশীল ও তৎপর করতে কাজ করে। বার্ধক্য জীবনের একটি স্বাভাবিক পরিণতি। সমাজ ও সভ্যতা বিনির্মাণে প্রবীন জনগোষ্ঠীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। সুযোগ পেলে প্রবীণরাও অভিজ্ঞতার আলোকে দেশ ও সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই অধ্যক্ষ ডা. এ কে এম আবদুল ওয়াহেদ ১৯৬০ সালের ১০ এপ্রিল প্রতিষ্ঠা করেন এ প্রতিষ্ঠানটি। ইতিমধ্যে এর অগ্রযাত্রার ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে।

প্রবীণ নিবাস : প্রবীণদের বসবাসের জন্য এখানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে একটি ছয়তলা ভবন নির্মিত হয়েছে। এ নিবাসে বর্তমানে ২৮ জন প্রবীণ বাস করেন। তাঁদের আবাসনের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে এ প্রতিষ্ঠান। আছে প্রার্থনা কক্ষ, গ্রন্থাগার, টেলিভিশন ও ইনডোর গেইমসের সুবিধা। গ্রন্থাগারে আছে সাহিত্য, ইতিহাস, অর্থনীতি ও দর্শনবিষয়ক প্রচুর বই, ম্যাগাজিন ও সাময়িকী পড়ার সুবিধা। প্রতিবছর প্রকাশিত হয় প্রবীণ হিতৈষী সংঘের জার্নাল 'প্রবীণ হিতৈষী পত্রিকা'। প্রবীণদের সেবা প্রদানে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে দুজনকে দেওয়া হয় মমতাময় ও মমতাময়ী প্রবীণ সেবা পুরস্কার।
প্রবীণ হাসপাতাল : এ হাসপাতালে জরুরি বিভাগসহ ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসসেবা চালু আছে। কম খরচে প্রবীণ ও কম বয়সীদেরও চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে প্রবীণদের পাঁচ টাকা এবং অন্যদের ৩০ টাকায় দেওয়া হয় প্রেসক্রিপশন। বর্তমানে হাসপাতালে ১৫ জন ডাক্তার কর্মরত আছেন। এখানে ৩০ শতাংশ দরিদ্র প্রবীণকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
'বার্ধক্যে ব্যক্তি যেমন মানসিকভাবে নিঃসঙ্গ বোধ করেন, তেমনি তখন চিকিৎসাসেবাও তাঁর জন্য অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ায়। তাই বয়স্কদের সামাজিক আশ্রয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও এ প্রতিষ্ঠানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।' বললেন হাসপাতাল পরিচালক ডা. শেখ লুৎফর রহমান। ৩৫ বছর ধরে এখানে দায়িত্বরত এ প্রবীণ চিকিৎসক আরো বলেন, 'বয়স্কদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার কাজটি আমি বেশ আনন্দের সঙ্গে করছি।'
প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আশরাফুল আলম মাসুম জানান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে তাঁরা বার্ষিক বরাদ্দ পান ৫৫ লাখ টাকা। জেরিয়াট্রিক ইনস্টিটিউট স্থাপন, উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণ, প্রবীণ ক্লাব ও ডে-কেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠাসহ আরো নানা পরিকল্পনার কথা জানালেন সংঘের মহাসচিব ক্যাপ্টেন (অব.) এ কে এম শামসুল হক।

একটু বাড়াও...

গ্রাম-শহরে অনেক শিশুই
চোখে পড়ে নিত্য
দুই ঠোঁটে নেই হাসির ঝিলিক
বিষাদ-ভরা চিত্ত।

চুলগুলো সব এলোমেলো
দেহখানি শীর্ণ
পরনে যা তা- ছেঁড়া
ময়লা-লাগা জীর্ণ।

ড্রেনে-খাদে হাতড়ে বেড়ায়
পায় না খেতে খাদ্য
নেই তো মোটে মানুষ হয়ে
বেঁচে থাকার সাধ্য।

তোমরা যারা বিত্তশালী
সুখে আছ মস্ত
ওদের দিকে একটু বাড়াও
ভালোবাসার হস্ত।

রবিবার, ১১ মার্চ, ২০১২

সংগ্রহ সাড়ে ৫ লাখ, পাঠক নেই!


সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর পরিচালিত বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার শেরে বাংলানগরে অবস্থিত
বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার

মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। গ্রন্থাগারই একটি জাতির ইতিহাসের ভিত্তি নির্মাণ করে। মানুষকে ঋদ্ধ করার প্রত্যয়ে কাল থেকে কালান্তরে গ্রন্থাগারই জ্বেলে দেয় অফুরান জ্ঞানের দীপশিখা। আর সমগ্র জাতির শিক্ষা, গবেষণা, জ্ঞানচর্চাসহ সৃজনশীল ও বুদ্ধিবৃত্তিক অর্জনের কেন্দ্রস্থল হলো সে দেশের জাতীয় গ্রন্থাগার। জাতীয় গ্রন্থাগারই একটি দেশের সব মুদ্রিত সৃষ্টিকর্মের কেন্দ্রীয় সংগ্রহশালা, কৃষ্টি ও সভ্যতার দর্পণ। আমাদের জাতীয় ইতিহাস-ঐতিহ্য, ভাষা-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অগ্রগতির যাবতীয় প্রকাশনা সংরক্ষণে নিবেদিত বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার। এ গ্রন্থাগার বর্তমান পাঠকদের যেমন সেবা দিচ্ছে, তেমনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও একটি নির্ভরযোগ্য তথ্যভাণ্ডার প্রস্তুত করছে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর পরিচালিত বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার রাজধানীর শেরে বাংলানগরে অবস্থিত।
ষাটের দশকের প্রথম ভাগে পাকিস্তান জাতীয় গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯৬৭ সালে ঢাকায় এর প্রাদেশিক পুস্তক সংগ্রহ শাখা খোলা হয়। স্বাধীনতা লাভের পর এটিই বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগার হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
পাঠকদের সেবা দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগারের কর্মপরিধি ব্যাপক বিস্তৃত। কপিরাইট আইন অনুযায়ী এটি বাংলাদেশে প্রকাশিত সব সৃজনশীল নতুন বই সংগ্রহ করে। সংগৃহীত বই ও সাময়িকীর স্থায়ী সুরক্ষা ও নতুন প্রকাশনার পরিচিতিমূলক নিয়মিত গ্রন্থপঞ্জি প্রণয়ন করে। মাইক্রোফিল্ম, লেমিনেশন ইত্যাদির মাধ্যমে দুষ্প্রাপ্য-ক্ষয়িষ্ণু বই ও প্রকাশনা সংরক্ষণ করে। জাতীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড উপলক্ষে বই প্রদর্শনী, বইমেলা, সেমিনার, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করে। গ্রন্থাগার বিষয়ে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ রক্ষা এবং গ্রন্থাগার সম্পর্কে পরিকল্পনা গ্রহণ ও নীতিনির্ধারণে পরামর্শ দেয়। এ ছাড়া লেখক-প্রকাশকদের আইএসবিএন (ISBN) প্রদান করা এর অন্যতম দায়িত্ব।
জাতীয় গ্রন্থাগারের সংগ্রহ
বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগারে রয়েছে জ্ঞান-বিজ্ঞানের যাবতীয় বিষয়ে সমৃদ্ধ সংগ্রহ। ভাষা, ধর্ম, দর্শন, শিল্পকলা, রাজনীতি, অর্থনীতি, পরিবেশ, কৃষি, চিকিৎসা, প্রকৌশল, মানব উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইত্যাদি নিয়ে এখানে আছে বিপুল প্রকাশনা। সমসাময়িক বিষয় ছাড়াও এখানে পাওয়া যায় পুরনো ও দুর্লভ অনেক কিছু। প্রতিষ্ঠানের প্রোগ্রামিং অফিসার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার জানান, 'সংবাদপত্র, দেশি-বিদেশি বই, জার্নাল, ম্যাগাজিন, মাইক্রোফিল্ম, মাইক্রোফিসসহ বর্তমানে সংগ্রহ প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ।' এখানে ১৯৬১ থেকে বর্তমান পর্যন্ত প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য সব বাংলা ও ইংরেজি দৈনিক, সাপ্তাহিক, আঞ্চলিক পত্রিকা সংরক্ষিত আছে। বাংলা ও ইংরেজি ছাড়া এখানে হিন্দি, উর্দু, আরবি, ফার্সি, জাপানি, চীনা ও কোরিয়ান ভাষার বই, জার্নাল ও সাময়িকী রয়েছে। ১৮৯২ থেকে বর্তমান পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার কপি মানচিত্র সংগৃহীত আছে। পুরনো সামগ্রীর মধ্যে সংগৃহীত আছে মনসামঙ্গল কাব্যের পাণ্ডুলিপি, আলালের ঘরের দুলাল, বাঙ্গালার ইতিহাস, নবচরিত, ময়মনসিংহের বিবরণ, সাহিত্য সন্দর্ভ ইত্যাদি গ্রন্থের দুর্লভ সংস্করণ। এ ছাড়া ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর নবাব, ড. ফজলুল হাসান ইউসুফ, গাজীপুরের ভাওয়াল রাজার দুষ্প্রাপ্য নিদর্শন বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থাগারের সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করেছে।
পাঠকসেবা
বাংলা ও ইংরেজি সংগ্রহের জন্য পৃথক দুটি এবং সংবাদপত্রের জন্য একটি_এই তিনটি পাঠকক্ষের মাধ্যমে পাঠকসেবা দেওয়া হয়। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শুক্র ও শনিবার এবং অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন বন্ধ। ১৫ টাকা সদস্য ফি জমা দিয়ে আবেদন করে যে কেউ এক বছরের জন্য গ্রন্থাগারের সদস্য হতে পারেন। সদস্যদের জন্য রেফারেন্স, ফটোকপিসেবা এবং স্বল্প পরিসরে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা আছে। এ ছাড়া গ্রন্থাগারে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মিলনায়তন এবং প্রদর্শনী গ্যালারি। জাতীয় গ্রন্থাগারের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও আদর্শের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ যেকোনো প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ফির বিনিময়ে মিলনায়তন ও গ্যালারি ব্যবহার করতে পারে।

সুবিধা অনেক, পাঠক নেই
গ্রন্থাগারে বিপুল সংগ্রহ সত্ত্বেও যাদের জন্য এ আয়োজন, সে পাঠক এখানে নেই। গ্রন্থাগারের কর্মকাণ্ডে ও সুযোগ-সুবিধার বিশালত্বের তুলনায় এখানে পাঠকের সংখ্যা একেবারে নগণ্য। ঢাকার অনেক মানুষই এ গ্রন্থাগার সম্পর্কে জানে না। অবস্থানগতভাবে ঢাকার মূল কেন্দ্র থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় এবং এর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অজ্ঞতাই এর মূল কারণ বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। এখানে পড়তে আসা আলমগীর হোসেন বলেন, 'আশপাশে বৃহৎ কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় এবং প্রচার-প্রচারণার অভাবে এখানে পাঠক কম।'
আরকাইভস ও গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. তাইবুল হাসান খান বলেন, 'পাঠক ও দর্শনার্থীর সংখ্যা সময়ের সঙ্গে বাড়ছে এবং গ্রন্থাগারের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে।' গ্রন্থজগতে জাতিকে আলোকিত করার মতো এ প্রতিষ্ঠানের আরো ব্যাপক প্রচার-পরিচিতির প্রয়োজন আছে। তিনি আরো বলেন, 'জাতীয় গ্রন্থাগারের মতো বড় মাপের প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় বর্তমান লোকবল যথেষ্ট নয়। সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে কার্যক্রম চালাতে জনবল বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।'

গ্রীষ্ম-স্মৃতি

গ্রীষ্ম এলে মনের ভেতর ভাবনা শত জাগে
মুক্ত স্বাধীন আহা কতই সুখী ছিলাম আগে।
কাটিয়ে দিতাম সারাটা দিন পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে
গাঁ'কে ছেড়ে মা'কে ছেড়ে এখন দূরে।

গাঁয়ের কথা স্মরণ হলে মন যে কেমন করে
এক নিমেশেই দু'চোখ আমার অশ্রুতে যায় ভরে।
জীবন নিয়ে ব্যস্ত ভীষণ পাই না খানিক ছুটি
তবুও বুনি গাঁয়ে ফেরার স্বপ্ন মুঠি মুঠি।

আম-কাঁঠালের ছায়ায় ঘেরা মামার বাড়ির ছবি
সেই না নদী বিল খেয়াঘাট চোখে ভাসে সবি।
মামার বাড়ির প্রতি আমার আজও অশেষ প্রীতি
গ্রীষ্ম এলে মনে পড়ে ছেলেবেলার স্মৃতি।

ইচ্ছেপরি বাজায় বাঁশি


(আদুরে বন্ধু আরিবার জন্য)


মিষ্টি হাসির রোল ছড়ানো
তিন বছরের ছোট্ট খুকি
চাঁদের মতো মুখখানা তার
তাই বুঝি নাম চন্দ্রমুখী।

চঞ্চু দুটো শিশির মোড়া
নয়ন-জোড়া কাজল কালো
শান্ত স্বরের দুষ্টুমিতে
সারা ঘরে ছড়ায় আলো।

রঙের কণা উছলে পড়ে
রোজ অপলক দৃষ্টি জুড়ে
পরশ পেলে খেলার ছলে
মায়ায় বাঁধে মোহন সুরে।

কোমল ভাষায় চপল আশায়
ইচ্ছেপরি বাজায় বাঁশি
জোসনালোকে মায়ের চোখে
উথলে ওঠে স্বপ্নরাশি।

কচি প্রাণের কলকাকলি
আজকে সবার মন জুড়ালো
রইল আশিস স্নেহ অপার
ছোট্ট মণি থেকো ভালো।

সবুজের গালিচায় প্রাণবন্ত আড্ডা


প্রাককথন
দায়িত্বটি আমার ওপর অর্পিত হয়েছে আজ থেকে ১১ দিন আগে। লিখব লিখব করে এতগুলো দিন কেটে গেল। এর মধ্যে সম্পাদক, লেখক-পাঠক অনেকেরই সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছি- হ্যাঁ, আজই লিখছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, সদ্য একটি খবরের কাগজে যোগদান করেছি বলে রিপোর্টারসুলভ ব্যস্ততা, মনস্তাত্বিক অলসতা- সবকিছু এড়িয়ে অবশেষে লেখার সময় পেলাম।

প্রস্তাবটি প্রথমে তানজিল রিমনের কাছ থেকে এসেছিল এবং এতে আমারও সায় ছিল। তা হল- শিশু কিশোর দ্বীন দুনিয়ার পাঠক-লেখকরা বইমেলাকে সামনে রেখে একত্র হব। আমরা যারা ঢাকায় আছি এবং ঢাকার বাইরে যারা থাকেন- ফেব্রুয়ারির গ্রন্থমেলা সকলের কাছাকাছি হওয়ার একটি সুযোগ। এক পর্যায়ে তানজিল তার সংগঠন ‘ফুটতে দাও ফুল’ এর শিশু উৎসব নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল এবং আমিও চুপসে গেলাম। তারপরও ১০ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার আমরা মিলিত হলাম। আর এর পেছনে অনেকখানি কৃতিত্বই যার, তিনি হলেন কবি জিসান মেহবুব। ঢাকার বাইরে ভৈরবে অবস্থান করলেও সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনিই এগিয়ে এলেন এবং আমরা তার আহবানে সাড়া দিলাম।

অতপর আড্ডা…
যথারীতি জিসান মেহবুবই সবার আগে পৌঁছুলেন। তার সঙ্গে ছিলেন তন্ময় রাশেদ, হাসান বিন হাফিজ ও মোর্শেদ আলম। তারপর তানজিল এবং আমি। অনেক ডাকাডাকি করে খোন্দকার নুরুল একা উম্মেহানীকে পাওয়া গেল। এলেন সা’দ বিন আর্দ্ব্ও। একসঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজ সেরে শুরু হল আড্ডা পর্ব। আড্ডাস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে সবুজ ঘাসের চত্বর। এর মধ্যে হাজির হলেন তানিম ইশতিয়াক। অনাবিল আনন্দের আবাহনে শুরু হল আমাদের আলাপন। সঞ্চালনায় আমি জাহিদ রুমান।

 প্রথমে পরিচিতি পর্ব। সবাই যে যার নাম-পরিচয় উপস্থাপন করল। বেশির ভাগ নামই পরস্পরের চেনা। আর অচেনা হলে নামের সঙ্গে অবয়ব মিলিয়ে নিলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখলেন জিসান মেহবুব। সম্মিলনের সাফল্যের জন্য আমরা তাকে অভিনন্দিত করলাম। তারপর চলল স্মৃতিচারণ। একে একে সবাই প্রকাশ করল নিজের ফেলে আসা জীবনের গল্প। কীভাবে লেখালেখি শুরু, কেমন করে শিশু কিশোর দ্বীন দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয়, প্রথম লেখাই বা কবে ছাপা হল- আরও কত কথা। প্রত্যেকে ব্যক্ত করল তার সৃষ্টিশীল স্বপ্নময় জীবনের অম্ল-মধুর স্মৃতি-অনুভূতি। আমরা তন্ময় হয়ে শুনলাম, ভাবলাম। ফাঁকে ফাঁকে চলল স্বরচিত লেখাপাঠ। বিশেষ করে তানিম ইশতিয়াকের ‘ঘোড়ার ডিম’ বিষয়ক তিনটি লেখা সকলের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা কুড়াল। এর মধ্যে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নারায়ণ চন্দ্র রায় ও সোহেল রানা বীর। উপস্থিতির সংখ্যা এক অঙ্ক ছাড়িয়ে দুই  অঙ্ক স্পর্শ করল।

তানিম ইশতিয়াক ক্যাম্পাস থেকে প্রকাশিত ‘পতাকা’ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক। সে পতাকা’র জানুয়ারি সংখ্যা কিনলে ফেব্রুয়ারি সংখ্যা সৌজন্য দেওয়া হবে এমন ঘোষণা দিল। অনেকেই তাতে সানন্দে অংশগ্রহণ করল। ঘোষণা এল অমর একুশে গ্রন্থমেলায় শিশু কিশোর দ্বীন দুনিয়ার লেখকদের প্রকাশিত বইয়ের ব্যাপারেও। মেলায় এসেছে জিসান মেহবুবের নিসর্গটা কাব্য হবে (সাহিত্যদেশ) ও গোমর-ফাঁস (প্রতিভা প্রকাশ) এবং তানজিল রিমনের এক তালি ভাই বল্টু (সাহস পাবলিকেশন্স)।

আসরের নামাজের বিরতি শেষে আবার শুরু হল আড্ডা। তখন সুয্যির উত্তাপ কমে এসেছে। আড্ডার কিছু খন্ডচিত্র ধরে রাখা হল ক্যামেরার স্মৃতিতে। এরপর আলোচনা হল শিশু কিশোর দ্বীন দুনিয়াকে ঘিরে। এর অতীত, বর্তমানের চিত্র এবং ভবিষ্যতের প্রত্যাশা নিয়ে সবাই মতামত দিল। উপস্থিত আমরা সবাই নিয়মিত লিখব এবং নিজ অবস্থান থেকে পত্রিকার পাঠক সৃষ্টিতে উদ্যোগী হব বলে অঙ্গীকারাবদ্ধ হলাম।

শিশু কিশোর দ্বীন দুনিয়া কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে আমাদের ভাবনা সবার জন্য তুলে ধরা হল:

     পত্রিকার সম্পাদনা পর্ষদে উদ্যমী তরুণ কাউকে রাখা যেতে পারে। অতীতে যেটি ইতিবচিক ভূমিকা রেখেছিল বলে আমরা মনে করি।
    প্রচ্ছদ এবং লেখার আধেয় (Contents) আরও শিশু-কিশোর উপযোগী হওয়া চাই।
      পত্রিকা প্রকাশ ও প্রেরণে আরও বেশি সময় সচেতনতা আশা করি।
    লেখার মান যাচাইয়ে আরও যত্নশীলতা দাবি করি। সংকলিত লেখার সংখ্যা কম হওয়া ভাল।
    আগের নিয়মিত লেখকদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
    পূর্বের মতো বিষয়ভিত্তিক বিশেষ সংখ্যা (বাবা-মা, নদ-নদী, নিসর্গ- প্রকৃতি, নবীন লেখক-লেখিকা) প্রকাশ করা যেতে পারে।
    বার্ষিক পাঠক-লেখক সম্মেলন হওয়া চাই।

বর্তমানে তোমাদের পাতা, কবিতামালা, নবীন হাতের কলম হতে বিভাগগুলো পত্রিকার পাঠকপ্রিয়তার শীর্ষে। দেখা যায়, নিয়মিত বিভাগ কেন্দ্রিক পত্রিকার একটি পাঠক-লেখক গোষ্ঠী থাকে। তাই জগাখিচুড়ি, সবজান্তা দাদুর আসর, এসো হাত পাকাই, শব্দ গঠন, জানতে চাই এর মতো নিয়মিত বিভাগগুলো ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।

আড্ডার একেবারে শেষ মুহূর্তে আমাদের মধ্যে উপস্থিত হন পাংশার প্রবীণ কবি মুহাম্মদ ফিরোজ হায়দার। তিনি আবারো শিশু কিশোর দ্বীন দুনিয়ায় লিখবেন বলে জানালেন এবং পাংশার সাহিত্য সম্মেলনে আমাদের দাওয়াত দিলেন। এই প্রবীণ কবির দরাজ কণ্ঠের কাব্যপাঠ এবং একটি কবিতাকান্ত গোধূলি আমাদের আড্ডায় সমাপ্তির সুর তুলল। অস্তায়মান সুয্যির শেষ আলোকবিন্দু, দিবা-রাত্রির অদ্ভুত সন্ধি, মুয়াজ্জিনের আহবান আমাদের আলাপনে ইতি ঘটাল। একটি প্রাণবন্ত আড্ডার মুগ্ধ অনুভূতি নিয়ে ফের দেখা হবে এই আশায় আমরা ছুটে চলি যে যার গন্তব্যে……।

স্বাধীনতা


স্বাধীনতা উদার আকাশ, মুক্ত পাখির ডানা
যেদিক খুশি উড়ে যেতে নেই কোনো যার মানা।
এই তো উড়াল গাছের শাখায় সবুজ পাতার ফাঁকে
ছুটবে আবার দূরের বনে আটকাবে কে তাকে?

স্বাধীনতা হাঁসের সাঁতার নদীর অবাধ গতি
ফুল বাগানের ঘাসফড়িং আর রঙিন প্রজাপতি।
ইচ্ছে মতন খাতার পাতায় লেখন আঁকিবুঁকি
মিষ্টি হাসির রোল ছড়ানো চার বছরের খুকি।

স্বাধীনতা মেঘের কোলে সুতো ছেঁড়া ঘুড়ি
রিনিঝিনি ছন্দে ভরা মায়ের হাতের চুড়ি।
স্বাধীনতা অসীম সাহস নীল পাহাড়ের চূড়োয়
অচিন গাঁয়ের যে মেয়েটি শুকনো পাতা কুড়োয়।

স্বাধীনতা হাওয়ার দোলা ছোট্ট নায়ের পালে
স্বাধীনতা পথের ধারে কিংবা জেলের জালে।
অপূর্ব সুর সুষমাময় রাখালিয়া বাঁশি
স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর মজুর-কুলি-চাষী।

স্বাধীনতা আমার লেখা কবিতা ও ছড়া
সবার চেনা একটি নিশান সবুজ-লালে গড়া।
চোখ জুড়ানো বাংলাদেশের শ্যামল-কোমল ভূমি
এরই মাঝে আছো প্রিয় স্বাধীনতা তুমি।

বৃহস্পতিবার, ৮ মার্চ, ২০১২

কনকচাঁপার উদ্দেশে

কনকচাঁপার কনকশোভা
সোনালি ফুলের রেণু দু’চোখে মেখে
সুখময় ঝলমল স্বপনে বাঁচি,
তোমারই পথ চেয়ে সকাল থেকে

একটি গোলাপ হাতে দাঁড়িয়ে আছি।

সবুজাভ শাড়ি পরে আসবে তুমি
নরম কাশের মত ছুঁয়ে যাবে মন,
ইচ্ছের নীলপাখি মেলবে ডানা
শেষ বিকেলেও হবে গল্প-কথন।


তুমি নেই তাই মন আঁধারে ঢাকে
ছুটে চলি স্রোতহীন অজানা বাঁকে,
আশায় আশায় গেল কত না সকাল
আমাকে দাঁড়াতে হবে আর কতকাল!

অর্কিড কাঞ্চনে মুগ্ধতা

পৌষের এক কুয়াশামোড়ানো সকালে প্রকৃতির একটু সবুজ ছোঁয়া পেতে গিয়েছিলাম রাজধানীর রমনা পার্কে। শীতের চাদর ফুঁড়ে এক চিলতে রোদের ঝিলিক ভারী মিষ্টি ...