মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

ছাতিমের ঘ্রাণমাখা রাত্রি

তুমি তো আমাকে অনেক কিছু উপহার দাও

মিও ভাবতে থাকি তোমাকে কী দেওয়া যায়।

কার্তিকের এই বৃষ্টিভেজা রাতে দখিনা বাতাসে ভেসে আসা ছাতিমের ঘ্রাণ মনে করিয়ে দেয়
এই ঋতুতে এর চেয়ে ভালো উপহার আর হয় না।
তাই আমি তোমাকে দিতে চাই ছাতিমের সুগন্ধি,
ছাতিমের গন্ধমাখা দীঘল রাত্রি।

আহা, বাতাস মাতাল করা এই ঘ্রাণ নাকের ভেতর দিয়ে পৌছে যায় হৃদয় থেকে মরমের গহীনে;
এ যেন মাটির পৃথিবীতেই স্বর্গীয় অনুভূতি।
এই রাত আমার সামনে মেলে ধরে বহুরাত্রি আগে ফেলে আসা ছেলেবেলা;
মধুর সুবাসে মোহিত এক কিশোরের মুগ্ধতা
সেই গন্ধশোভিত বেলায় আমার হৃদয় ভরে উঠত কত রঙে, কত স্বপ্নে, ভালো লাগা কিশোরীর কাছে যাওয়ার কল্পনায়।

এই রাত্রি, এই সুগন্ধি, এই মুহূর্ত কতটা অমূল্য কেবল হৃদয়ই জানে। কারণ এর কোনো বেচাকেনা হয় না, এসব মিলবে না কোনো দোকানেই। তার চেয়েও অপূর্ব, এই আনন্দ একান্তই আমার, এই সুখের রাজ্যে আমার একার রাজত্ব। এই মুহূর্তটি মিলবে কেবল এক্ষণেই, কাল পর্যন্ত ধরে রাখার উপায় নেই।

তবে তোমার কাছে কী করে পৌছাই এই উপহার:
ছাতিমের গন্ধমাখা দীঘল রাত্রি। কী করে তোমাকে দেই আমার আনন্দরাজ্যের একচিলতে সুখ?
চর্যাপদের কবিদের মতো আমারও ভরসা তাই শব্দ, হৃদয় উৎসারিত পঙতিমালায় লেখা থাক এইসব আনন্দ। এই উপহার বিনিময় হোক ঘ্রাণমাখা শব্দে, মোহময় অনুভবে।

২ কার্তিক ১৪২৮
সন্দ্বীপ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

অর্কিড কাঞ্চনে মুগ্ধতা

পৌষের এক কুয়াশামোড়ানো সকালে প্রকৃতির একটু সবুজ ছোঁয়া পেতে গিয়েছিলাম রাজধানীর রমনা পার্কে। শীতের চাদর ফুঁড়ে এক চিলতে রোদের ঝিলিক ভারী মিষ্টি ...