আকাশে গনগনে সুয্যি, কাঠফাটা রোদ্দুরে তপ্ত বাতাস, ছায়াশূন্য পথে তৃষ্ণার্ত পথিক আর হঠাৎ করেই ঝড়ো হাওয়ার তোড়ে উন্মত্ত প্রকৃতি; এই যেন গ্রীষ্মঋতুর চিরচেনা রূপ। একটু খেয়াল করে দেখুন, রুদ্র গ্রীষ্ম কেবল আগুনই ঝরায় না, বাহারি ফুলের পসরা সাজিয়ে মনও কাড়ে। এ সময় নিষ্প্রাণ, রুক্ষতা ছাপিয়ে প্রকৃতি নিজেকে মেলে ধরে আপন মহিমায়।
গাছে গাছে কৃষ্ণচূড়া, জারুল, সোনালু থেকে শুরু
করে কাঠগোলাপ, গন্ধরাজের যে বর্ণিল আয়োজন তার কি
কোনো তুলনা হয়? তীব্র রোদে বৃক্ষছায়ায় ঝলমলে রঙের
খেলা আর কখনো কখনো বাতাসে সোঁদা গন্ধ এ তো গ্রীষ্ম ঋতুরই দান। বোশেখ-জ্যৈষ্ঠে আমাদের
বাগানে সুরভি ছড়ানো ফুলের তালিকাটিও বেশ বড়।
প্রকৃতিবিদ দ্বিজেন শর্মার ‘ফুলগুলি যেন কথা’ বইতে পাই গ্রীষ্মে বাহারি ফুলের উচ্ছ্বাসের এক অপূর্ব চিত্রায়ণ: ‘কৃষ্ণচূড়ার লাল-কমলা, জারুলের হালকা বেগুনি, ক্যাশিয়ার গোলাপি-সাদা, পেল্টফরাম আর সোনাইলের হলুদ এবং বাতাসে ফেরে স্বর্ণচাঁপা শিরিষ
হিজলের মধুগন্ধ, বাগানে উজ্জ্বলতা ছড়ায় রঙবেরঙের জবা
রাধাচূড়া টগর, নানা রঙের ঘণ্টা ধুতরা কলকে, বনপথে ফোটে লুটকি কাঠমল্লিকা হিজল বরুণ।’



