এই হেমন্তে আপনি যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান গ্রন্থাগারের ফটকে গিয়ে
দাঁড়ান, ঘন সবুজ পাতাময়, আকাশছোঁয়া একটি গাছ আপনার চোখে পড়বে। গাছের তলায়
দেখবেন ঝরা ফুলের মেলা। বিশেষ করে, সাতসকালের হিম বাতাসে সাদা ফুলের
প্রাচুর্য, সঙ্গে মিষ্টি সুরভি আপনাকে আকুল করবে মুহূর্তেই। একটু অপেক্ষা
করলে পেতে পারেন বাতাসের স্পর্শে ঝরতে থাকা গুঁড়ি গুঁড়ি ফুলের সম্ভাষণও।
বলছি হিমঝুরির কথা। হিমের দিনে সাদা হিমের মতোই যেন ফুলগুলো ঝরে পড়ে। সৌন্দর্য-মুগ্ধ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাই একে ডেকেছেন হিমঝুরি নামে। হিমঝুরি রাতে ফোটে এবং গন্ধ বিলোয়।
হিমঝুরি (Millingtonia hortensis) সুউচ্চ, লম্বাটে ধরনের চিরসবুজ গাছ। ২০০ বছরেরও আগে মিয়ানমার থেকে এসে এটি আমাদের উদ্যানে জায়গা করে নিয়েছে। এই গাছের ডালপালাগুলো ছড়ানো-ছিটানো, আগা নিচের দিকে নুয়ে থাকে। ডালের মাথায় অসংখ্য মঞ্জরিতে
বিক্ষিপ্তভাবে ফুল ফোটে। নলাকার সাদা ফুলের মাথায় পাঁচটি ছোট পাপড়ির একেকটি ফুল শুভ্র পাপড়ির মতো। আর নিচের দিকে ঝুলে থাকা ফুলগুলো বাতাসের পরশে যেন নেচে ওঠে বারবার। সরু, লম্বা ফুল এক ফুট বা তারও বেশি বড় হয়। এর বীজ হালকা ও পাখাযুক্ত বলে বায়ুর মাধ্যমে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। হিমঝুরি গাছ ছায়াঘন নয় বলে রাস্তার ধারে লাগানোর অনুপযুক্ত। কাঠ হালকা ও মসৃণ, আসবাব তৈরিতে ব্যবহারযোগ্য। নিমগাছের সঙ্গে সাদৃশ্য এবং বলিষ্ঠ উচ্চতার জন্য হিমঝুরি আকাশনিম নামেও পরিচিত। ইংরেজি নাম 'ইন্ডিয়ান কর্ক ট্রি'।
মাধুর্যে, কমনীয়তায় অপূর্ব হওয়া সত্ত্বেও গাছটি ঢাকায় বেশ দুষ্প্রাপ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান গ্রন্থাগারের সামনের গাছটি ছাড়া শিশু একাডেমীর বাগান এবং বলধা গার্ডেনসংলগ্ন খ্রিস্টান কবরস্থানে কয়েকটি গাছ চোখে পড়ে। হেমন্তের শিশির-ভেজা প্রকৃতিতে ফুলের সংখ্যা অনেকটা সীমিত। তাই আমাদের উদ্যানের বৈচিত্র্য ও শোভাবর্ধনে এ গাছের অধিকতর বিস্তার হওয়া দরকার। রূপে-গন্ধে-সৌন্দর্যে অতুলনীয় হিমঝুরির প্রাচুর্য হৈমন্তিক পুষ্প-নিসর্গে নতুন মাত্রা যোগ করবে নিঃসন্দেহে।
(২০ নভেম্বর, ২০১২ দৈনিক সমকাল-এ প্রকাশিত)
বলছি হিমঝুরির কথা। হিমের দিনে সাদা হিমের মতোই যেন ফুলগুলো ঝরে পড়ে। সৌন্দর্য-মুগ্ধ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাই একে ডেকেছেন হিমঝুরি নামে। হিমঝুরি রাতে ফোটে এবং গন্ধ বিলোয়।
হিমঝুরি (Millingtonia hortensis) সুউচ্চ, লম্বাটে ধরনের চিরসবুজ গাছ। ২০০ বছরেরও আগে মিয়ানমার থেকে এসে এটি আমাদের উদ্যানে জায়গা করে নিয়েছে। এই গাছের ডালপালাগুলো ছড়ানো-ছিটানো, আগা নিচের দিকে নুয়ে থাকে। ডালের মাথায় অসংখ্য মঞ্জরিতে
বিক্ষিপ্তভাবে ফুল ফোটে। নলাকার সাদা ফুলের মাথায় পাঁচটি ছোট পাপড়ির একেকটি ফুল শুভ্র পাপড়ির মতো। আর নিচের দিকে ঝুলে থাকা ফুলগুলো বাতাসের পরশে যেন নেচে ওঠে বারবার। সরু, লম্বা ফুল এক ফুট বা তারও বেশি বড় হয়। এর বীজ হালকা ও পাখাযুক্ত বলে বায়ুর মাধ্যমে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। হিমঝুরি গাছ ছায়াঘন নয় বলে রাস্তার ধারে লাগানোর অনুপযুক্ত। কাঠ হালকা ও মসৃণ, আসবাব তৈরিতে ব্যবহারযোগ্য। নিমগাছের সঙ্গে সাদৃশ্য এবং বলিষ্ঠ উচ্চতার জন্য হিমঝুরি আকাশনিম নামেও পরিচিত। ইংরেজি নাম 'ইন্ডিয়ান কর্ক ট্রি'।
মাধুর্যে, কমনীয়তায় অপূর্ব হওয়া সত্ত্বেও গাছটি ঢাকায় বেশ দুষ্প্রাপ্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান গ্রন্থাগারের সামনের গাছটি ছাড়া শিশু একাডেমীর বাগান এবং বলধা গার্ডেনসংলগ্ন খ্রিস্টান কবরস্থানে কয়েকটি গাছ চোখে পড়ে। হেমন্তের শিশির-ভেজা প্রকৃতিতে ফুলের সংখ্যা অনেকটা সীমিত। তাই আমাদের উদ্যানের বৈচিত্র্য ও শোভাবর্ধনে এ গাছের অধিকতর বিস্তার হওয়া দরকার। রূপে-গন্ধে-সৌন্দর্যে অতুলনীয় হিমঝুরির প্রাচুর্য হৈমন্তিক পুষ্প-নিসর্গে নতুন মাত্রা যোগ করবে নিঃসন্দেহে।
(২০ নভেম্বর, ২০১২ দৈনিক সমকাল-এ প্রকাশিত)

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন