মায়ার কোনো গন্ধ আছে কি না জানি না
তবু অভিমানের ওই ভোর থেকে
কেমন যেন একটা গন্ধ পাচ্ছি।
সেদিনের ছাইরঙা পাঞ্জাবিটা পরে বের হয়েছি আজকেও, যদিও কেউ আমায় অনুরোধ করে বলেনি: আমি শাড়ি পরছি, তুমি পাঞ্জাবি পরো কিন্তু। আজ শাড়ি পরে অস্থিরচিত্ত কেউ আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেনি, কারও পাশাপাশি রিকসায়ও বসিনি।
তবু কীসের যেন একটা গন্ধ পাচ্ছি। পাঞ্জাবির ডান পাশটাতে গন্ধটা একটু বেশি। সিএনজি অটোরিকসায় এবং সঙ্গীত উত্সবের মাঠে খানিকটা তোমার গা ঘেঁষে বসেছিলাম বলেই কি ওখানে গন্ধ লেগে আছে?
একটু পর পর সেই গন্ধ শুঁকে কেমন যেন ভালো লাগছে
হয়ত সেটা পারফিউমের গন্ধ অথবা কোনো গন্ধটন্ধ নেই সবটাই কল্পনা নাকি মায়া তাও জানি না।
হয়ত মায়াই, কতদিন কোনো কিছু লিখি না
তবু কিছু না ভেবেই আজ লিখে ফেললাম কয়েকটা শব্দ। বুঝে নাও, আজ সারাদিন তোমায় কতটা মিস করেছি।
জানি, কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। একসঙ্গে ঘোরাঘুরি, আমার বিরক্তিকর জ্ঞানভরা কথা, অভিমান, ভালোলাগা, আমার অশ্বত্থ আর তোমার পাইকড় বৃক্ষ
জন্মদিনের সকালে একগুচ্ছ লালগোলাপ
সেই বৃষ্টি দেওয়া মেঘকন্যা
ঠাণ্ডা শরবতপ্রেমী মদন কিংবা মফিজ
রাতজাগা কথামালা
নভোথিয়েটার কিংবা শিল্পকলায় যাওয়ার ইচ্ছে সবকিছু
আমার কৈশোরের কবিতার ডায়েরির মতোই
একদিন স্মৃতি হয়ে যাবে।
তবু অজানা মায়ায় অথবা প্রীতির ছায়ায় আমি তোমাকে খুঁজব। হয়ত বৃষ্টির জলের মতো আমার দু'ফোটা অশ্রু কখন হারিয়ে যাবে তুমি পাষাণী তা কোনোদিন জানবে না।
অঘ্রাণের রাত
১ ডিসেম্বর, ২০১৫

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন