গ্রীষ্মের খরতাপে প্রকৃতিতে প্রাণের সজীবতা নিয়ে যেসব ফুল ফোটে তার মধ্যে
সোনালু বা সোনাইলের নাম উল্লেখযোগ্য। ঝাড়লণ্ঠনের মতো দীর্ঘ থোকায়
হলুদ-সোনালি রঙের সোনালু ফুল চলতি পথে যে কারও নজর কাড়বেই। শীতকালে সোনালুর
শাখা-প্রশাখায় সীমাহীন নিঃসঙ্গতা ভর করে। পুরো গাছে একটি পাতাও থাকে না।
বসন্তেও অনেকটা নিষ্প্রাণ, নিস্তব্ধ। সোনালুর ঘুম ভাঙে বৈশাখের শুরুতে। তখন
দীর্ঘ মঞ্জরির ফুলগুলো ফুটতে শুরু করে, তার সঙ্গে নতুন পাতার জাগরণ। দেখতে
দেখতে ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় গাছ। পুষ্পিত সোনালু তখন যেন কাঁচা সোনা রঙে
আবৃত। ডালপালা ভরে ওঠে কচি সবুজ পাতায়। সোনালুর প্রধান আকর্ষণ দীর্ঘ ঝুলন্ত
পুষ্পমঞ্জরি। বৈশাখী হাওয়ার পরশে এর থোকাগুলো দুলতে থাকে, ঠিক যেন কানের
দুলের মতো। আর হলুদ বরণ সৌন্দর্য মাতোয়ারা করে রাখে চারপাশ।
সোনালু গাছ আকারে ছোট। ডালপালা ছড়ানো-ছিটানো, নিবিড় নয়। গাঢ় সবুজ রঙের পাতাগুলো যৌগিক, মসৃণ ও ডিম্বাকৃতির। ফুল এক থেকে দেড় ইঞ্চি পর্যন্ত চওড়া, পাপড়ির
সংখ্যা পাঁচ। ফল গোল, লাঠির মতো লম্বা। এ কারণে সোনালু কোথাও কোথাও বানরলাঠি নামেও পরিচিত। বানরলাঠি ঘিরে লোকসমাজে নানা গল্প প্রচলিত। এ নিয়ে হৈচৈ আর দুরন্তপনায় মেতে ওঠে গ্রামের উদ্দাম কিশোরের দল। রূপ-প্রাচুর্যে অতুলনীয় সোনালু গ্রামবাংলায় স্বল্পসংখ্যায় চোখে পড়ে। ঢাকায় এ গাছের সংখ্যা খুব বেশি নয়। জানামতে, শেরেবাংলা নগরে জাতীয় সংসদ ভবনের মাঝখানের রাস্তায় যে একসারি গাছ দেখা যায় তা-ই ঢাকা শহরে সোনালুর সবচেয়ে বড় সমারোহ। এ ছাড়া রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রাঙ্গণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সোনালুর দেখা মেলে।
সোনালুর ফল, ফুল ও পাতা বানরের প্রিয় খাদ্য। এ গাছের কাঠ জ্বালানি ছাড়াও অন্যান্য কাজে লাগে। ফলের বিভিন্ন অংশ বাত, বমি ও রক্তস্রাব প্রতিরোধে উপকারী। বীজ সহজেই অঙ্কুরিত হয়, যদিও বৃদ্ধি মন্থর। সোনালুর আদিবাস পূর্ব এশিয়ায়। বৈজ্ঞানিক নাম ক্যাশিয়া ফিস্টুলা । ক্যাশিয়া গ্রিক নাম আর ফিস্টুলা অর্থ বাঁশি। ফলের আকৃতির জন্য এমন নামকরণ। সোনালুর ইংরেজি নাম গোল্ডেন শাওয়ার।
সোনালু গাছ আকারে ছোট। ডালপালা ছড়ানো-ছিটানো, নিবিড় নয়। গাঢ় সবুজ রঙের পাতাগুলো যৌগিক, মসৃণ ও ডিম্বাকৃতির। ফুল এক থেকে দেড় ইঞ্চি পর্যন্ত চওড়া, পাপড়ির
সংখ্যা পাঁচ। ফল গোল, লাঠির মতো লম্বা। এ কারণে সোনালু কোথাও কোথাও বানরলাঠি নামেও পরিচিত। বানরলাঠি ঘিরে লোকসমাজে নানা গল্প প্রচলিত। এ নিয়ে হৈচৈ আর দুরন্তপনায় মেতে ওঠে গ্রামের উদ্দাম কিশোরের দল। রূপ-প্রাচুর্যে অতুলনীয় সোনালু গ্রামবাংলায় স্বল্পসংখ্যায় চোখে পড়ে। ঢাকায় এ গাছের সংখ্যা খুব বেশি নয়। জানামতে, শেরেবাংলা নগরে জাতীয় সংসদ ভবনের মাঝখানের রাস্তায় যে একসারি গাছ দেখা যায় তা-ই ঢাকা শহরে সোনালুর সবচেয়ে বড় সমারোহ। এ ছাড়া রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রাঙ্গণ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সোনালুর দেখা মেলে।
সোনালুর ফল, ফুল ও পাতা বানরের প্রিয় খাদ্য। এ গাছের কাঠ জ্বালানি ছাড়াও অন্যান্য কাজে লাগে। ফলের বিভিন্ন অংশ বাত, বমি ও রক্তস্রাব প্রতিরোধে উপকারী। বীজ সহজেই অঙ্কুরিত হয়, যদিও বৃদ্ধি মন্থর। সোনালুর আদিবাস পূর্ব এশিয়ায়। বৈজ্ঞানিক নাম ক্যাশিয়া ফিস্টুলা । ক্যাশিয়া গ্রিক নাম আর ফিস্টুলা অর্থ বাঁশি। ফলের আকৃতির জন্য এমন নামকরণ। সোনালুর ইংরেজি নাম গোল্ডেন শাওয়ার।

wonderful collection & information
উত্তরমুছুন