বৃহস্পতিবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৩

বাগানের শোভা দেবকাঞ্চন


মাথার ওপর নির্মল আকাশ, উজ্জ্বল রোদে সোনালি ঝিলিক  খেলে নুয়ে পড়ে পরিপুষ্ট ধানের শীষ। এরপর বাতাসে হিমভাব, জীবনানন্দের ‘রূপশালী ধানভানা রূপসীর শরীরের ঘ্রাণ’ কিংবা পাড়া-গাঁয়ে নতুন ধানের গন্ধে উৎসবের আনন্দবার্তা; এই বাংলার চিরচেনা হেমন্ত। কুয়াশার চাদরে ঢাকা হেমন্তের এমন মনোরম দিনে সবুজপাতার কোলে একগুচ্ছ হালকা বেগুনি ফুলের উচ্ছ্বাস আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে বাড়তি পাওয়া।

কার্তিক মাসে দেবকাঞ্চন গাছে ফুল ফুটতে শুরু করে, পাতার ফাঁকে ডালগুলো ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। স্নিগ্ধ সৌরভ সঙ্গে আকর্ষণীয় পাঁচটি বেগুনি পাপড়ির সমাহারে দেবকাঞ্চন (Bauhinia purpurea) হেমন্তের প্রকৃতিতে সৌন্দর্যের এক ভিন্ন মাত্রা তৈরি করে। হালকা বেগুনি ছাড়াও এর পাপড়ি মৃদু রক্তিম, গোলাপি বা সাদাটে হতে পারে। তবে হালকা বেগুনি রঙের দেবকাঞ্চনই বেশি চোখে পড়ে। ঠিক গুচ্ছে নয়, প্রতি শাখায় কয়েকটি করে ফুল থাকে। পাপড়িগুলো সন্নিবিষ্ট নয়, কিছুটা বিচ্ছিন্ন। মাঝারি আকারের দেবকাঞ্চন গাছে শীতের মাঝামাঝি পর্যন্ত ফুল থাকতে পারে।


শুক্রবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৩

এই গল্পটি কাল্পনিক



বয়েস ঠিক কত হলে ভালবাসা নামক অনুভূতিটা মানুষের মনে জাগ্রত হয়, তা জানি না । তবে বিশ বছর বয়সে আমি প্রথম ভালবাসার অস্তিত্ব অনুভব করেছিলাম। তা কোনো মানব বা মানবীর ডাকে নয়, বরং আমাকে ভুলিয়েছিল বুনোফুলের গন্ধ। একটু একটু করে ওই গন্ধ প্রবেশ করেছে আমার মনের গভীর থেকে আরো গভীরে। হলদে ফুলের কোমল রূপ আর মিষ্টি ঘ্রাণ আমাকে করেছে মোহিত, মুগ্ধ। তাই তো আমি ওকে ডেকেছি ‘কনকচাঁপা’ নামে। কনকচাঁপাই প্রথম আমার জন্য সাজিয়েছিল ভালবাসার আরতি। ওর মায়াময় আহ্বানে আমার হৃদয়ে নববসন্ত জেগেছিল, গেয়ে উঠেছিল কোকিল পাখি আর স্বপ্নগুলো রঙিন হয়েছিল কৃষ্ণচূড়া, শিমুল ও পলাশের রক্তিমতায়। আমি ওর সরল মনের গল্পমুখরতায় মিশে গেছি নির্ভয় উচ্ছ্বাসে।

বুধবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৩

সাংবাদিকতার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্যই নীতিমালা প্রয়োজন: আরেফিন সিদ্দিক




আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক, বর্তমানে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের গণমাধ্যম, শিক্ষা-সংস্কৃতি, গণতন্ত্র, মানবধিকার ও মানুষের তথ্য স্বাধীনতার পক্ষে চিন্তা ও বৃদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলনে তিনি রাখছেন সোচ্চার ভূমিকা। 

আরেফিন সিদ্দিক পঁয়ত্রিশ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় নিয়োজিত। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের সদস্য হিসেবেও কাজ করেন। 

তিনি ১৯৭৫ সালে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় এমএ এবং ১৯৮৫ সালে ভারতের মহীশুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয় ও কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয় হতে উচ্চতর পেশাগত প্রশিক্ষণ লাভ করেন। তাঁর জন্ম ১৯৫৩ সালের ২৩শে অক্টোবর, ঢাকায়। 

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, অনলাইন মিডিয়ার প্রসার, তথ্যপ্রযুক্তি এবং গণমাধ্যমের সাম্প্রতিক প্রবণতা নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন জাহিদ রুমান

অর্কিড কাঞ্চনে মুগ্ধতা

পৌষের এক কুয়াশামোড়ানো সকালে প্রকৃতির একটু সবুজ ছোঁয়া পেতে গিয়েছিলাম রাজধানীর রমনা পার্কে। শীতের চাদর ফুঁড়ে এক চিলতে রোদের ঝিলিক ভারী মিষ্টি ...