মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০১৪

মাধবী ঝরা রাত কিংবা চির অমাবস্যার গল্প

 
অপরূপ সৌন্দর্য ভরা সে নিসর্গ উদ্যান।
সুনসান
নীরব
কোথাও কোনো সাড়া নেই, শব্দ সেই।
ফুল, পাখি, নদী, ঝরনা, সবুজ অরণ্য সবাই চুপচাপ।
দিনের প্রথম আলোয় ধন্য সে সকালে ধীর লয়ে এলো মেয়েটি।
নীল জামাপরা মেয়ে, ওর নাম মাধবীলতা।
বসল সে বয়েসী বটগাছটির তলায়
দুচোখে প্রেমের শুভ্র আবির মেখে ব্যস্ত পায়ে এলো ছেলেটি।
ছেলেটির নাম সকাল।
তারপর সম্মিলিত হাসিতে ঝলমলে হয়ে উঠল ওরা দুজন।
একজোড়া বটের পাতা ঝরে পড়ে যেন তাদের সম্ভাষণ জানাল।

সোমবার, ১৯ মে, ২০১৪

পরিবেশ বিপর্যয় রোধে প্রয়োজন দূষণমুক্ত শিল্পের বিকাশ: দ্বিজেন শর্মা

অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা একাধারে শিক্ষক,অনুবাদক ও লেখক। নিসর্গ ও পরিবেশের জন্য জীবনের অনেকটা সময় ব্যয় করেছেন। ছেলেবেলার সুবর্ণ সময় কাটিয়েছেন জন্মস্থান মৌলভীবাজার জেলার পাথারিয়া পাহাড়ের কোলে। শিক্ষকতা করেছেন বরিশাল বিএম কলেজ এবং নটরডেম কলেজে। মস্কোর প্রগতি প্রকাশনে অনুবাদকের কাজ করেছেন প্রায় বিশ বছর। দেশে ফিরে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিতে। বাংলা একাডেমী পদকসহ বিভিন্ন জাতীয় সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। প্রকৃতি ও পরিবেশ সংকট, এর সংরক্ষণে করণীয়, বিপর্যয়ের  পরিপ্রেক্ষিতে পৃথিবী ও মানবজাতির ভবিষ্যৎ ইত্যাদি নিয়ে সম্প্রতি তার সঙ্গে একান্তে কথা বলেছেন জাহিদ রুমান। আলাপনের চুম্বকাংশ তুলে ধরা হলো:
 

প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে আপনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন, বলতে গেলে গোটা জীবনটাই কাটিয়ে দিলেন। প্রথমে জানতে চাই, প্রকৃতির প্রতি আপনি আকৃষ্ট হলেন কীভাবে?

এই প্রশ্নটি আমাকে বহুবার করা হয়েছে এবং আমি নানাভাবে জবাব দিয়েছি। এখন আমার কাছে মনে হয়, ব্যাপারটা একটু জটিল। ইদানীং এপিজেনিটিক্স বলে নতুন একটি বিজ্ঞানধারার উদ্ভব ঘটেছে। এতে মনে করা হয়, আমরা যা ‘হয়ে উঠি’ তার মূলে জিনের ভূমিকা আছে, লক্ষ লক্ষ বছরের প্রাকৃতিক নির্বাচনে যেটা গড়ে উঠেছে। জেনেটিক্স বা বংশগতি থেকে আমরা যা পাই সেটা হলো ‘সহজাত প্রবৃত্তি’। আর বাকিটা এপিজেনিটিক্যাল সিস্টেম বা উপবংশগতি থেকে গড়ে ওঠে।
 

অর্কিড কাঞ্চনে মুগ্ধতা

পৌষের এক কুয়াশামোড়ানো সকালে প্রকৃতির একটু সবুজ ছোঁয়া পেতে গিয়েছিলাম রাজধানীর রমনা পার্কে। শীতের চাদর ফুঁড়ে এক চিলতে রোদের ঝিলিক ভারী মিষ্টি ...